মালেক ইকবাল।।
আমাদের দুই পরিবারের মধ্য অনেকদিন ধরেই কথা চলছে। প্রায় সবকিছুই সম্পন্ন। এখন শুধু আমাদের দুজনের সম্মতির অপেক্ষা। সাক্ষাৎ এর জন্য নিজের গ্রাম ছেড়ে খালার বাড়িতে এসেছে। সবার মাঝে অনেক কথা হলো। একজন মুরুব্বি বললেন- শুধু আমাদের বুঝলে হবে না। ছেলে-মেয়ের মধ্যেও আন্ডারস্ট্যান্ডিং দরকার। ইচ্ছে করলে তোমরা একান্তে কিছু সময় কথা বলতে পারো।
বাসায় সবার সামনে তো সব কথা বলা সম্ভব নয়। তাই আমি আর সিমরান বাসার বাহিরে এসে নদীর ধার দিয়ে হাঁটছি। দিন গড়িয়ে বিকেল। কিছুক্ষণ পরেই সূর্য ছুটি নিবে। সূর্যের রক্তিম আভা চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। বিলের পানির ছোট ছোট ঢেউ এর সাথে সূর্য রশ্মি খেলা করছে। বিলের কিনার দিয়ে কলার গাছের সাড়ি। আবার কিছু ঝোপ ঝাড়। মাঝে মাঝে সরু রাস্তা। কিনারে কয়েকটা কলার ভেলা আর ডিঙি নৌকা বাধা। দু জনই চুপচাপ। কে কিভাবে শুরু করবে এটা নিয়ে ভাবছি। এইবার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- আপনি কি নৌকা চালাতে পারেন?
-পারি, তেমন ভালো না।
-সমস্যা নাই। পানি বেশি না। ডুবে গেলে সাতার কেটে কিনারে উঠতে পারব। আপনার আপত্তি না থাকলে নৌকা বাইতে বাইতে কথা বলি? আর একটা কথা?
-জ্বি, বলুন!
– আমার কিন্তু নীল পদ্ম চাই।
– তাহলে বিলের একদম মাঝখানে যেতে হবে। এতদূর কিভাবে যাবো আর কে কি ভাববে?
-আরে! কেউ কিছু ভাববে না। মনে করবে কাজিন এর সাথে পদ্মবিল দেখতে আসছি। এখানে তো আমাদের তেমন কেউ চিনে না।
নীল পদ্মের কথা শুনে না বলতে পারলাম না। আমারও নীল পদ্ম খবই পছন্দ। দুজনই নৌকার কাছে গেলাম। বারবার নৌকায় উঠার চেষ্টা করছে। দেখে বুঝতে পারলাম-উঠার অভিজ্ঞতা নেই। উঠতে না পেরে আমাকে বললেন- প্লিজ, একটু হেল্প করেন না?
তারপর আমি রশি ধরে টেনে নৌকা কিনারে ভিড়ালাম। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হওয়ায় বিলের কিনারে কাদা হইছে। কলার গাছের উপর দিয়ে হাটার সময় পিছলে যাওয়ার উপক্রম। এমন সময় বললেন-প্লিজ একটু হাতটা ধরে নৌকায় উঠিয়ে দিন না?
ছোট ডিঙি নৌকা। কোন মতে দুজনে চড়া যায়। নৌকার সামনের দিকে সিমরান বসলেন আর আমি পিছনের দিকে। আমি বৈঠা হাতে নৌকা বাইছি। আস্তে আস্তে চলছে। এমন সময় সিমরান জিজ্ঞেস করলেন-আপনি কি ব্লু লোটাস হোটেলেই উঠছেন?
-জ্বি, ক্যাম্নে বুঝলেন?
– আপনার রুচি আর ব্যাক্তিত্ব দেখে।
– এত সহজেই বুঝে ফেললেন।
-হুম, আমি একটু ওপেন মাইন্ডেট কিন্তু লাজুক।
-ও, আচ্ছা। আমি আবার মানুষকে এত সহজে বুঝি না। তাই আপনার কথাই বিশ্বাস করলাম।
-আচ্ছা, আপনি কি শুধু এই কারণেই এখানে আসছেন?
– জ্বি। তবে একজন বন্ধুর সাথেও দেখা করতে আসছি। যদি সম্ভব হয়। সান মারিনো থেকে এসেছে। আগে অবশ্য বেলজিয়াম ছিলো।
-আপনি কেন এসেছেন?
-আপনি জানেন তো- এখানে আমার খালামণির বাসা। আর আপনার এবং আমার বিষয়টা। আরেকটা কারণ আছে। সেটা হলো- এই পদ্ম বিলে নাকি লাল পদ্মের মাঝে মাঝে নীল পদ্ম পাওয়া যায়!
উত্তরে বললাম -জ্বি, আমি দেখি নাই, তবে শুনেছি।। বিলের একদম মাঝখানে পাওয়া যায়। কিন্তু খুবই কম।
গভীর আবেগ নিয়ে বললেন- প্লিজ, আপনি, না, বলবেন না, চলুন না? আমাকে একটু সাহায্য করুন। আমার ৭ টা আসল নীল পদ্ম খুবই দরকার। কাগজের বানানো ১০০ টা নীল পদ্ম আমার কাছে আছে।
কোন কথা না বাড়িয়ে দু জন একটা ছোট ডিঙি নৌকায় রওনা দিলাম। উনি নৌকার সামনে বসে আছেন। মনে হচ্ছে সূর্য শুধু তার দিকেই আলো দিচ্ছে। আর আমি পিছনে বৈঠা হাতে। সামনের দিকে মুখ করে হাত কপালের উপর দিয়ে বসে আছে যেন সূর্যের আলো চোখে না লাগে। হঠাৎ আমার দিকে ফিরলেন। এর কারণ খুঁজতে লাগলাম। পরে বুঝলাম সূর্যের আলো ডিস্টার্ব করছে। তাই আমার দিকে মুখ করে বসছে। এরই মাঝে বিলের প্রায় মাঝখানে চলে এসেছি। আমাদের নৌকার চারিদিকে লাল পদ্ম ফুলের সমাহার। পদ্ম পাতার ওপর জল বিন্দু আপন মনে খেলা করছে। সূর্যের আলোতে সেগুলো আবার চিকচিক করছে।
চঞ্চল আর মিষ্টি মেয়ে। পদ্ম বিল দেখে আনন্দে আত্মহারা। অল্প সময়ে কত ভংগিমা দেখালো তার ইয়ত্তা নেই। গায়ে সাদা স্কার্ট। তার উপরে ডিপ ব্রাউন কালারের কোটি। তার হালকা ব্রাউন কালারের চুলগুলো হাতের দু পাশ দিয়ে বুকের উপর আছড়ে পড়ছে। একটু ঢিলা হাতা। বাম হাতে কালো রঙের ঘড়ি। গোলায় একটা ক্যামেরা ঝুলানো। মোবাইলের ক্যামেরায় সেলফি তুলতে ব্যস্ত। তার গালের ডান পাশের টোলের কারণে ছোট্ট তিলটা দেখা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে হাত দিয়ে পদ্ম পাতার জলবিন্দু সড়িয়ে দিচ্ছে। হাতের সাথে লাল পদ্ম ফুলের স্পর্শ নিতেই লাল হয়ে উঠছে। মাঝে মাঝে এক পা পানিতে ডুবাচ্ছে আবার তুলছে। তার পায়ের সাথে পানির স্রোতে এক অপূর্ব সুন্দর শব্দের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে নৌকার গতিপথ পরিবর্তন হলেও খারাপ লাগছে না। স্বচ্ছ পানিতে পায়ের লাল আলতা জ্বলজ্বল করছে।
হঠাৎ দেখলাম কোন এক অজানা কারণে তার মনটা খুবই খারাপ। আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি বৈঠা বাইছি। হঠাৎ বৈঠার ৫ ফোটা পানি তার মুখের উপর পড়লো। শিহরিত হয়ে চমকে উঠলেন। জোরে এক নিঃশ্বাস নিলেন। আমি সরি বলতেই উনি বললেন- ঠিক আছে। আরে কি বলেন, আমার খুব ভাল লাগছে। এরকম আবার কখন করবেন?
বিস্ময় নিয়ে বললাম- আরে, আজিব তো, আমি কি ইচ্ছে করে করেছি নাকি!
আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ড চেয়ে রইলেন। আমি খানিকটা লজ্জা পেয়ে চোখের পলক নামালাম।
আবার ইশারা করে ডেকে বললেন- প্লিজ, ইচ্ছে করে হলেও মাঝে মাঝে এমনটা করবনে কিন্তু। আমার হেব্বি লাগছে ব্যাপারটা। আচ্ছা, এবার আসি আসল কথায়। আমার সম্পর্কে আপনার কি কি জানতে ইচ্ছে করছে, বলুন।
এরই মাঝে আকাশে মেঘ। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। হঠাৎ করেই হালকা বৃষ্টি শুরু হলো। খুব ভয় পাচ্ছে। বৃষ্টির ফোটা পানিতে পড়তেই টোপ টোপ শব্দ হচ্ছে। তার গাল বেয়ে পানি পড়ছে। আর চুলের ডোগায় বৃষ্টির পানি বিন্দু আকারে লেগে আছে। ব্যাগ থেকে ছাতা বের করলেন। ছাতা নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতেই নৌকার এক পাশ ডুবে যাবার উপক্রম। উনি ভয়ে আবার নৌকার সামনের দিকে চলে গেলেন। এটা দেখে আমি বললাম- অকে, ঠিক আছে, আমার লাগবে না। আপনি একাই ছাতার নিচে থাকুন।
ছাতা বের করে বসতেই বৃষ্টি থেমে গেলো। আমি ভাবলাম যে চঞ্চল মেয়ে, কি আর জিজ্ঞেস করবো? খেয়াল করে দেখলাম-ছাতা মাথায় দিয়ে নিশ্চুপ বসে আছে। মনে হচ্ছে কোন গভীর চিন্তায় মগ্ন। বিলের মাঝখানে নৌকাও থেমে আছে। একদমই চলছে না। বাতাসও বইছে না। কারো মুখে কোন কথা নেই। বুঝলাম না, এত্ত চঞ্চল মেয়ে কেন এমন চুপসে গেলো? কী হলো এমন?
কিছুক্ষণ পর বললেন-প্লিজ, কিছু জিজ্ঞেস করুন।
এবার আমিও খানিকটা সময় নিরাবতা পালন করে বললাম- সত্যি কথা বলতে এমন সিচুয়েশনে কখনও পরি নাই। তাই কি জিজ্ঞেস করব ভাবছি? এই প্রথম। আসলে আমার জানা নাই এই অবস্থায় কি জিজ্ঞেস করতে হয়। এটা শুধু কয়েক দিনের বিষয় নয়! সারা জীবনের ব্যাপার। কি জিজ্ঞেস করবো বুঝতে পারছি না। তাহলে আমার ব্যাপারে বলি। পড়াশোনা দেশেই করেছি। বাহিরে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ হয়ে উঠে নি। অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনটাই ভালো ভাবে করা হয়নি। কিছুদিন জার্নালিজম শিখেছি, কিছুদিন করপোরেট জব করেছি আবার কিছুদিন ধরে ব্যবসা শুরু করেছি। এখন একটা কলেজে ইংরেজি সাহিত্য পড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসা করি। ফ্রেন্ড সার্কেল বলে আমি বাস্তববাদী আর ইমোশনাল। কলেজে একজনকে পছন্দ করতাম। একই ক্লাসে পড়তাম। আমার পাশের ব্রেঞ্চেই বসতো মেয়েটা। তাকে বলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি কিন্ত কখনও সাহস হয়নি। তবে ভালই হইছে। কিছুদিন পর জানতে পারলাম হ্রদিতা অন্য জনকে পছন্দ করে।
আড্ডার সময় বন্ধুরা জোর করলে স্মোকিং করি। ফ্যামিলির কেউ জানে না। এখন অবশ্য করি না। আশা করি আপনি কাউকে বলবেন না। সরি, শুধু আমিই বলে যাচ্ছি। আচ্ছা, আমি শুনেছি আপনি নাকি বই পড়তে পছন্দ করেন? আপনার প্রিয় বই কি কি?
-পরিনীতা, সমাপ্তি, সব চরিত্র কাল্পনিক এবং সিনেমন আইস্ক্রিম।
– ওয়াও! আপনার পছন্দ আমার পছন্দ হইছে। আপনার কি কোন কিছু জানার আছে?
-না, তেমন কিছু জানার নাই। সব উত্তর পেয়ে গেছি।
তারপর দেখি মন খারাপ করে বসে আছে। মনের রাজ্যে মেঘের ছায়া। জিজ্ঞেস করলাম – মন খারাপ কেন, কী হয়েছে?
-না, কিছু হয় নি। এটা বলেই ব্যাগ থেকে বেলজিয়ামের নির্ভানা চকলেট বের করে দিলেন।
-দারূণ তো। তবে অর্গানিক এবং নিওটা আরো বেশি মজা।
এবার সিমরান জিজ্ঞেস করলেন- আচ্ছা, চারিদিকে এত লাল পদ্ম দেখছি, নীল পদ্ম কি পাবো না? আমার না, নীল পদ্ম খুবই দরকার।
হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন। আমার দিকে এগিয়ে আসলেন। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। দু জন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস ছাড়ছেন। সেটা আমার শার্টের দুই নম্বর বোতামের পাশে খুব করে অনুভব করলাম। ভয়ে বারবার আতকে উঠছে। কিছুই বলতে পারছে না। কাপতে কাপতে হঠাৎ করে আমার হাত ধরলেন। তার দু হাত হাল্কা করে ধরে বসিয়ে দিয়ে বললাম- আরে বলেন না, কি হয়েছে, এমন করছেন কেন?
আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখিয়ে বললেন- ওই যে দেখুন, ওখানে কী?
খেয়াল করে দেখলাম- নীলপদ্ম পাতার উপর সাপ আর কালো ভ্রমরা খেলা করছে।
এটা দেখে আমাকে কিছুক্ষণ জাপ্টে ধরে রাখলো। কিছুই বলতে পারলাম না। খানিক পর আমাকে ছেড়ে অনেকটা লজ্জা পেয়ে বললেন- আচ্ছা, আপনি কি পারফিউম ব্যবহার করেছেন?
-কেন, নরওয়ের এভার মার্টিন!
-ওয়াও, দারুণ ফ্লেভার। জাস্ট মাইন্ড ব্লোয়িং। সরি, কিছু মনে করবেন না। আমি ইচ্ছে করে করিনি। সত্যিই অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম। প্লিজ, মাইন্ড কইরেন না, হ্যাঁ?
-না, কিছু মনে করি নাই। আমার ভালই লাগছে।
-মানে কি? এটা কি বললেন? আপনার ভালো লাগছে!
-না, মানে। আমি কিন্তু ওইটা বুঝাই নাই।
– কোনটা?
– যেটা আপনি বুঝে মাইন্ড করছেন, সেটা। আপনার ভয়টা যে কেটে গেছে এইটা ভালো লাগছে।
অনেকক্ষণ পর জিজ্ঞেস করলেন- আচ্ছা, একটা কথা বলি?
-জ্বি, বলুন।
– আপনি অনেক ভাল মানুষ, তাই না?
– হঠাৎ এমন প্রশ্ন?
– আপনি ডান হাতে ঘড়ি ব্যবহার করেন, তাই।
– এটা আবার কেমন কথা।
-আচ্ছা, আপনি শার্টের উপরের বোতাম খোলা রাখেন কেন?
– ডিলাইট ইন ডিজঅর্ডার!
– মানে কি?
– কিছু না।
– আচ্ছা এসব বাদ দেন। আপনি অনেক মজার মানুষ। আমিও মজা অনেক পছন্দ করি। সত্যিকার অর্থে আমার জীবনটা অনেক এলোমেলো। ছোট বেলায় মাকে হারিয়ে স্টেপ মায়ের কাছে বড় হয়েছি। ভালই আছি। তবে সবসময়ই একটা শূন্যতা অনুভব করি। এজন্য হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি। আমাকে কেউ দেখলে বুঝতেই পারবে না যে আমারও না বলা কষ্ট আছে। বেশি কষ্ট পেলে আমি নির্ভানা চকলেট খেতে পছন্দ করি। খেলে হেব্বি লাগে।
আচ্ছা, আপনি কষ্ট পেলে কি খেতে পছন্দ করেন?
– জীবনে তেমন কষ্ট নেই। তবে মন খারাপ হলে আইসকিউব আর ঠান্ডা পানি খেতে পছন্দ করি।
– এমন আইডিয়া ক্যাম্নে পেলেন?
– আপনি যেভাবে নির্ভানা চকলেট খাওয়ার আইডিয়া পেলেন।
-আচ্ছা, আপনি কি একটু ক্যামন না?
একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- ক্যামন?
– যেমন হলে একজন মানুষকে একজনের ভালো লাগে! ঠিক তেমন! আর আপনার পার্সোনালিটি টা সেই।
এবার ব্যাগ থেকে চকলেট বের করে বললেন- প্লিজ, নিন। খেয়ে দেখেন হেব্বি লাগবে।
আমি ইতস্ততাবোধ করে বললাম- আসলে, চকলেট খাওয়ার তেমন কোন হ্যাবিট নেই।
-আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি খুলে দিচ্ছি, খেয়ে দেখেন!
-কী?
-কী মানে? চকলেট!
-ও, আচ্ছা। দারুণ তো। এটা খেলে কষ্ট কমে যায় এটা ক্যাম্নে আবিষ্কার করলেন?
– আমার একজন সান ম্যারিনো তে থাকে। সে প্রায় প্রতি দুই মাস পর পর নির্ভানা চকলেট পাঠায়। এই সপ্তাহে আসবে। তার আবার নীলপদ্ম হেব্বি পছন্দ। এবার আসলে তাকে ১০৭ টা নীলপদ্ম দিতে হবে।
লেখক: প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা।