মালেক ইকবাল ||

মারিনা আব্রামোভিক, সার্বিয়ায় বংশোদ্ভূত একজন পারফর্মেন্স আরটিস্ট, লেখক, আর্ট ফিল্ম ডাইরেক্টর এবং প্রোডিউসার। . তিনি “বডি আর্টকে” নিয়ে গেছেন এক অনন্য মাত্রায়। যিনি শরীরের সীমাবদ্ধতাকে যতদূর সম্ভব ব্যবহার করে উপস্থাপন করেছিলেন তাঁর শিল্পকর্ম। . পরিচিত করিয়েছিলেন Endurance art এবং Femenist art এর সাথে। একজন অনুষ্ঠাতা হিসেবে বোঝাতে চেয়েছিলেন দর্শক এবং তাঁর মধ্যকার সম্পর্ক। . ব্যক্তিগত জীবনে মারিনার সাথে তাঁর মায়ের সম্পর্ক ভালো ছিলো না। ছোটবেলায় মায়ের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন ভয়াবহভাবে। আর এ কষ্টের বিষয়টি কোন না কোনভাবে তার মাঝে একটা শিল্পের জন্ম দেয়। তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন Endurance art এর প্রতি। . ১৯৭৪ সালে ইতালিতে Rythm 0 নামে এক ভয়ংকর পারফর্মেন্স করার দুঃসাহস দেখান। সেটা ছিলো Endurance art যা উপস্থাপন করে “যন্ত্রণা, একাকীত্ব ও ক্ষয়”। . তিনি নিজেকে একজন বস্তু হিসেবেই উপস্থাপন করেন এবং দর্শদের যা ইচ্ছে হয় তাঁর সাথে তা করার সুযোগ দেওয়া হয়। আর এর সমস্ত দায়ভার থাকবে মারিনার। . সময় বেঁধে দেওয়া ছিলো ৬ ঘন্টা। রাত ৮ টা থেকে রাত দুটো পর্যন্ত। রুমের একটি টেবিলে ৭২ টা বস্তু রাখা ছিলো। যার মধ্যে পাখির পালক, গোলাপ, কাঁটা, মধু, অলিভ ওয়েল, কাঁচি, চাবুক, ব্লেড, বুলেট সহ বন্দুক, এমনকি কনডমও রাখা হয়। . তিনি একেবারে নিষ্ক্রিয় বস্তুর মত দাঁড়িয়ে থাকে। প্রথম দিকে সবাই তাঁকে কেবল ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো। হঠাৎ একজন পুরুষ এসে ব্লেড দিয়ে তাঁর গলায় আঁচড় বসিয়ে দিলো। . এরপর থেকে রুমে ভেতর নারী পুরুষ সকলেই তাঁর উপর চালায় পৈশাচিক আচরণ। তাঁরশরীর থেকে কাপড় খুলে ফেলা হয়, শরীরে কাঁটা বিঁধিয়ে দেয়, চাবুক মারা হয়, এমনকি সঙ্গমেও লিপ্ত হয়। . ক্ষতবিক্ষত শরীরটা উপস্থাপন করছিলো একজন “কুমারী, মা, পতিতার” শরীরকে। . ঠিক ৬ ঘন্টা পর মারিনা তাদের দিকে হেঁটে যান যারা এতক্ষণ যা ইচ্ছে তাই করেছিলো তার শরীরটার সাথে। চোখে চোখে রাখেন। কিন্তু একজন মানুষও তাঁর দিকে চোখে চোখ রেখে তাকাতে পারেনি। মাথা নিচু করে সরে গিয়েছিলো সবাই। . মারিনা সারা পৃথিবীকে খুব শক্তিশালী এক বার্তা দিতে চেয়েছিলেন এ পারফর্মেন্সের মধ্য দিয়ে। “সুযোগের অভাবে সুশীল আমরা

লেখকঃ প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা

Website |  + posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *